পেরুতে আনুমানিক ছয় লক্ষ ৫০ হাজার মানুষ মৃদু শ্রবণদৃষ্টি প্রতিবন্ধিতা নিয়ে বসবাস করেন এবং প্রায় ৬৫ হাজার মানুষ গুরুতর শ্রবণদৃষ্টি প্রতিবন্ধিতায় ভুগছেন।
*ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন অব দ্য ডেফব্লাইন্ড’র, ২০১৮ ‘অ্যাট রিস্ক অব এক্সক্লুশন ফ্রম সিআরপিডি অ্যান্ড এসডিজি’স ইমপ্লিমেন্টেশেন: ইনইকুয়্যালিটি অ্যান্ড পারসনস উইথ ডেফব্লাইন্ডনেস’
শ্রবণদৃষ্টি প্রতিবন্ধিতা একটি স্বতন্ত্র প্রতিবন্ধিতা হিসেবে স্বীকৃত এবং শ্রবণদৃষ্টি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সেবার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পেরুর আইন নং ২৯৫২৪ (২০১০) অনুযায়ী,শ্রবণদৃষ্টি প্রতিবন্ধিতাকে নিম্নলিখিতভাবে সংজ্ঞায়িত করে:
শ্রবণদৃষ্টি প্রতিবন্ধিতা একটি বিশেষ ধরনের প্রতিবন্ধিতা যা একই সাথে শ্রবণ ও দৃষ্টিশক্তির আংশিক বা সম্পূর্ণ ক্ষতি দ্বারা চিহ্নিত হয় এবং যা পর্যাপ্ত ও গুরুতর মাত্রায় যোগাযোগ, চলাফেরা, তথ্যপ্রাপ্তি ও পরিবেশে প্রবেশের সক্ষমতাকে ব্যাহত করে।
এই সংজ্ঞাটি শুধু শ্রবণদৃষ্টি প্রতিবন্ধিতাকে দ্বৈত প্রতিবন্ধিতা হিসেবেই চিহ্নিত করে না, বরং একজন ব্যক্তির সামগ্রিক চাহিদাকেও বিবেচনায় রাখে। যদিও এই সংজ্ঞা একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি, তবে সেবার প্রবেশগম্যতা, সহায়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা, প্রশিক্ষণ ও শ্রম বাজারে অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে অগ্রগতি এখনও ধীর।
২০১৭ সালের জাতীয় জনশুমারি অনুসারে, পেরুতে প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর মাঝে শিক্ষার হার কম। তাদের মধ্যে ১৪ শতাংশ কোনো ধরনের শিক্ষায় অর্ন্তভুক্ত হতে পারেননি এবং ৩২ শতাংশ কেবল প্রাথমিক স্তরে পড়াশোনা করেছেন। যারা শিক্ষার সুযোগ পেয়েছেন, তাদের অর্ন্তভুক্তির জন্য স্কুলগুলো পর্যাপ্ত প্রস্তুত নয় এবং অনেক শিক্ষক যথাযথ শিক্ষা প্রদানের জন্য প্রশিক্ষিত নন।
শ্রবণদৃষ্টি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা এখনও সমাজে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছেন। তাদের নির্দিষ্ট চাহিদার ভিত্তিতে সহায়তার প্রয়োজন, যাতে তারা সমাজের সঙ্গে আরও সংযুক্ত ও সক্রিয় হতে পারেন।
তথ্যপ্রাপ্তি, যোগাযোগ ও দৈনন্দিন কার্যক্রমে অংশগ্রহণের নতুন পথ হিসেবে প্রযুক্তিগত প্রবেশগম্যতা শ্রবণদৃষ্টি প্রতিবন্ধি মানুষের জীবনে আমূল পরিবর্তন ঘটাতে পারে। এ ধরনের রিসোর্স ও প্রযুক্তি শ্রবণদৃষ্টি প্রতিবন্ধি ব্যক্তি ও তাদের সহায়তাকারীদের জীবনযাপন, শেখার ক্ষেত্রে উন্নতি করতে সহায়তা করবে।