এটা কার জন্য উপযোগী?

শ্রবণদৃষ্টি প্রতিবন্ধিতাসম্পন্ন ব্যক্তি, তাদের পিতামাতা, শিক্ষক, উন্নয়ন এবং মানবিক সংস্থাগুলি যারা প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের শিক্ষার অধিকারের জন্য কাজ করে।

প্রকাশের তারিখ
জুলাই 2023
প্রাপ্তি স্বীকার
সেন্স ইন্টারন্যাশনাল, সেন্স ইন্টারন্যাশনাল ইন্ডিয়া, গ্রাম বিকাশ সংস্থা (জিবিএস), ঝিকরগাছা উন্নয়ন সংস্থা (জেডিও), পোভার্টি এলিভিয়েশন থ্রো পার্টিসিপেটরি রুরাল ইনিশিয়েটিভস (পাপড়ি), এবং আর্টিস্টিক কমিউনিকেশন প্রোডাকশন।

শিক্ষা একটি মৌলিক মানবাধিকার এবং মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যগুলোর মধ্যে একটি। শ্রবণদৃষ্টি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্রয়োজন-ভিত্তিক শিক্ষা এবং শেখার পরিষেবা প্রদানের জন্য স্ক্রীনিং এবং মূল্যায়ণ পূর্বশর্ত। সংক্ষেপে, এই ভিডিওটি প্রকাশ করে যে যথাযথ উদ্যোগের আওতাভুক্ত হয়ে শ্রবণদৃষ্টি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা শিখতে এবং কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন করতে পারে।

এই ভিডিওটি বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানের শ্রবণদৃষ্টি প্রতিবন্ধী সম্পর্কে তাদের পরিচর্যাকারী, সেবা প্রদানকারীর কাছ থেকে শ্রবণদৃষ্টি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সম্পর্কে চিন্তাভাবনা এবং গল্প তুলে ধরেছে। ভিডিওটির মাধ্যমে শ্রবণদৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের সক্ষমতা, সম্ভাবনা এবং শেখার সুযোগের পাশাপাশি বিভিন্ন উত্স থেকে গৃহীত কার্যক্রম এবং সহায়তার কথা বর্ণিত হয়েছে। শ্রবণদৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করার জন্য পাঠ্যক্রমের অভিযোজন এবং উপযোগী শিক্ষা ব্যবস্থার বিষয়টি নীতিনির্ধারকদের পুনর্বিবেচনা করতে সহায়তা করবে। 

শ্রবণদৃষ্টি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্যে অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা এবং শেখার সুযোগের সাথে পরিচিত হওয়া

‘মোরা জামিউল উলুমের ছায়াতলে, ছিলাম যেন সবে মায়ের কোলে; জামিউল উলুমের ছায়াতলে…’ চৈতি নামের একজন আংশিক শ্রবণদৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিশুর গানের মাধ্যমে এই ভিডিওটি শুরু হয়েছে। যেখানে পুরো ‍ভিডিওটিতে শ্রবণদৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিশুদের শিক্ষা কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে তাদের প্রয়োজনীয় বাড়িভিত্তিক শিক্ষা, শিক্ষা সহায়ক উপকরণ ও বিভিন্ন সেবা প্রদানের বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে।

 চৈতি, খাদিজা ও গালিব নামের তিনজন শ্রবণদৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিশু তাদের পরিবার, পরিচর্যাকারী ও সেন্স ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের সহযোগিতায় অন্যান্য শিশুর মতো এখন নিজের কাজ নিজে করতে পারছে এবং মূলধারার শিক্ষা কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্তির সুযোগ পেয়েছে।

উপস্থাপক: বাংলাদেশে বিপুল সংখ্যক শিশু এবং যুবক বিদ্যালয় এবং অন্যান্য শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাদের মধ্যে এক তৃতীয়াংশ প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী। যাদের বাড়িভিত্তিক শিক্ষা কিংবা অনানুষ্ঠানিক শিক্ষারও তেমন কোনো সুযোগ নেই।

প্রতিবন্ধী শিশুদের শিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ এবং মানসম্মত অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষার প্রতিবন্ধকতার অন্যতম কারণ আর্থিক ও কাঠামোগত বাঁধা, দৃষ্টিভঙ্গি এবং প্রতিবন্ধিতা বিষয়ক সঠিক ধারণা না থাকা। এই বাঁধাগুলি আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় এবং পরিবারের মধ্যে প্রবলভাবে লক্ষ্য করা যায়।

বিদ্যালয়গুলিতে বাজেট স্বল্পতার কারণে উপযোগী পরিবেশ তৈরি করা সম্ভব হয় না। যার ফলে বিদ্যালয়ে প্রতিবন্ধী বান্ধব টয়লেট, প্রতিবন্ধী বান্ধব প্রবেশমুখ, প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের উপযুক্ত শ্রেণিকক্ষ নেই। সেই সাথে অন্তর্ভুক্তির জন্য পেশাগত উন্নয়নের অপর্যাপ্ততা, স্বতন্ত্র শিক্ষা উপকরণ, অনমনীয় পাঠ্যক্রম এবং অনুপযুক্ত পাঠদান প্রক্রিয়া বিদ্যমান। যা মানসম্মত অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষার মূল অন্তরায়।

অন্যদিকে, দারিদ্র্য, প্রতিবন্ধকতার মাত্রা এবং ধরণ, সহায়ক প্রযুক্তির উচ্চ খরচ, প্রতিবন্ধী বান্ধব পরিবহন ব্যবস্থা না থাকা, প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্তিতে শিক্ষক ও পরিবারের অনীহা, প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের সাথে সঠিক যোগাযোগের পদ্ধতি সম্পর্কে ধারণা না থাকা এবং প্রতিবন্ধী শিশুদের প্রতি শিক্ষক, অন্যান্য শিক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবকদের মনোভাবও আনুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার একটি প্রধান কারণ হিসেবে স্বীকৃত। যেসকল শিক্ষার্থীদের প্রতিবন্ধিতার মাত্রা অনেক বেশি তাদের ক্ষেত্রে এই চ্যালেঞ্জগুলো আরও বড়। যেমন, শ্রবণদৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিশু ও তরুণ এবং বহুমাত্রিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তি।

সেন্টার ফর ডিজএ্যাবিলিটি ইন ডেভেলপমেন্ট (সিডিডি) ২০০৯ সাল থেকে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের দ্বারা ন্যাশনাল রিসোর্স সেন্টার অন ডেফব্লাইন্ডনেস (এনআরসিডিবি) প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এবং সেন্স ইন্টারন্যাশনাল ও সেন্স ইন্টারন্যাশনাল ইন্ডিয়ার সহায়তায় বাংলাদেশে শ্রবণদৃষ্টি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্তির জন্য কাজ করে আসছে। 

এই কার্যক্রমের আওতায় শ্রবণদৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ও বিকাশের উন্নয়নের পাশাপাশি তাদের জন্য উপযোগী পরিবেশের ব্যবস্থা করা প্রকল্পটির একটি মূল লক্ষ্য। ‘ইনক্রিজিং অ্যাক্সেস টু ইনক্লুসিভ কোয়ালিটি এডুকেশন অ্যান্ড লাইফলং লার্নিং ফর চিলড্রেন অ্যান্ড ইয়াং অ্যাডাল্টস উইথ ডেফব্লাইন্ডনেস ইন বাংলাদেশ’ প্রকল্পটি ইউকেএইডের অর্থায়নে পরিচালিত।

যা এপ্রিল ২০১৮ থেকে জুন ২০২১ সাল পর্যন্ত সাতটি বাস্তবায়নকারী সংস্থার মাধ্যমে আটটি জেলায় বাস্তবায়িত হয়েছে। প্রকল্পটির প্রধান লক্ষ্য হলো মূলধারার শিক্ষাব্যবস্থায় শ্রবণদৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের অন্তর্ভুক্তি এবং মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করার মাধ্যমে পারিবারিক এবং প্রাতিষ্ঠানিক উভয় স্তরেই এর প্রতিবন্ধকতা হ্রাস করা।

চৈতি, যশোরের প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা ঝিকরগাছা উন্নয়ন সংস্থা (জেডিও)’র মাধ্যমে ২০১৯ সালে আংশিক শ্রবণদৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিশু হিসেবে প্রকল্পের আওতায় আসে।

পলি খাতুন, চৈতির মা: ‘চৈতি চোখে কম দেখতো, কানে কম শুনতো। জেডিও অফিসে নিয়ে যাওয়ার পরে ডাক্তার আসলো হাসপাতাল থেকে, আইসে দেখার পরে কান পরীক্ষা করলো, চোখ পরীক্ষা করলো, করার পরে চোখে চশমা দিল।

জেডিও অফিস থেকে রায়হান ভাইয়া এসে প্রতি সোমবারে আমাদের বাসায় আসতো, এসে চৈতিক পড়াইতো, লিখাইতো, ব্যায়াম দেয়, থেরাপি দেয়, চৈতির সাথে একটু খেইলতো। চৈতির আগেকার চাইতে এখন অনেক উন্নত। চৈতি নিজে নিজে বিরাশ করে, কাপড় চোপড় পরতি পারে, খুলতি পারে, মাথা আচঁড়ায়, একের তে বিশ পর্যন্ত গুনতি পারে। চৈতি স্কুলে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত।’

উপস্থাপক: প্রকল্পের ফিল্ড এডুকেটর শ্রবণদৃষ্টি প্রতিবন্ধী খাদিজাকে তার শারীরিক ও যোগাযোগ বিকাশের জন্য ফিজিও থেরাপি এবং স্পিচ থেরাপির মাধ্যমে গৃহভিত্তিক সহায়তা প্রদান শুরু করেন। খাদিজার প্রতিবন্ধকতাকে মূল্যায়ন ও যাচাই করে পিতামাতার সহায়তায় তার ব্যক্তিগত বিকাশের জন্য একটি শিক্ষা পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়।

শারমিন নাহার, ফিল্ড এডুকেটর, জিবিএস, বগুড়া: ‘প্রথম অবস্থায় যখন আমি খাদিজাকে নেই, তখন সে মাথাটা এমন করতো, সে মাথা তুলতো না। সে মাথাটা এখন তুলতে পারে, তারপর হাত দিয়ে ধরতে পারতো না, তাকে হাতে ব্যায়াম করানো হয়। শ্রবণদৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিশুকে আমরা আগে কান টেস্ট করি, তারপর আপনার চোখ টেস্ট করে আগে বাসায় তো তাকে প্রাক প্রাথমিক শিক্ষাটা দিতে হবে। না দিলে তো স্কুলে আসবে না।

যখন ওরা বুঝতে পারে, বাচ্চা প্রাক প্রাথমিক পাওয়ার পরে ওরা বলে যে আমরা ইস্কুলে যাব, ব্যাগ নিব। সবাই যাচ্ছে স্কুলে, আমিও যাব। তখন নিয়ে এসে স্যারদের সঙ্গে আলোচনা করে তাকে স্কুলে ভর্তি করানো হয়।’

সুলতানা আক্তার, খাদিজার মা: ‘জিবিএস অফিস থেকে খাদিজার জন্যে আমি একটা সেলাই মেশিন পেয়ছি। মানে মেডিকেল থেকে আপনের চিকিৎসা দিছে, টাকা দিছে, কান পরীক্ষা করছে, চোখ পরীক্ষা করছে, পুষ্টি দিছে. থেরাপি দিছে, ইস্কুলে ভর্তি করানো হইছে। আপা আইসে লেখাপড়া শিখায়, ওকে বলে এইডা কোন জিনিস কী এগুলা চেনায়।’

উপস্থাপক: প্রকল্পের আওতায় স্কুলের পরিবেশ মূল্যায়ন করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় যেন চৈতি ও খাদিজার মতো অন্যান্য শ্রবণদৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিশুদের স্কুলে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা যায়। সেইসাথে স্কুলের পরিবেশের সাথে শ্রেণিকক্ষগুলোকে প্রতিবন্ধী বান্ধব করে তোলা হয়।

মো. নাসির উদ্দিন, প্রধান শিক্ষক, নোয়ালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঝিকড়গাছা, যশোর: ‘জেডিওর মাধ্যমে আমরা দুইজন শিক্ষক তিনদিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ পেয়েছিলাম। এই প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞান আমরা আমাদের সহকর্মীদের সাথে শেয়ার করেছি, তদেরকেও সেই ধারণাটা দিয়েছি। এখন আমার বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষকই্ জানে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের কীভাবে পাঠদান করাতে হয়, মোটামুটি তারাও মানে আগ্রহী এবং সেই অনুযায়ী তারা কাজ করে।

জেডিওর মাধ্যমে বেশকিছু শিক্ষা উপকরণ পেয়েছি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের পাঠদানকে কীভাবে আকর্ষণীয়, আনন্দদায়ক করা যায়, সফল করা যায়। সেগুলো ব্যবহার করে আমরা এখন পাঠদান করাচ্ছি। যার ফলে তারা অন্যান্য শিশুদের মতো তারা আগের চেয়ে বেশ ভালো সাড়া দেচ্ছে।’

মো. হারুনুর রশিদ, শিক্ষা অফিসার, বেলাবো উপজেলা, নরসিংদী: ‘সাভারে একটা প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে আমি অংশগ্রহণ করি। তো ওই প্রশিক্ষণে যখন আমি অংশগ্রহণ করেছি, সেখানে আমার কাছে একটা নতুন দিক মনে হইছে, শ্রবণ প্রতিবন্ধী একটা দৃষ্টি প্রতিবন্ধী দুইটা একটা ব্লেন্ডিং ফর্মে আপনার ধারণা দিচ্ছে। এই শিশুগুলি আমরা আসলে পূর্বে কোনো আইডেন্টিফাই করি নাই।

তো ওই ট্রেইনিংয়ের মাধ্যমে আমরা এগুলি দেখলাম যে, ইচ্ছে করলেই এই ধরনের শিশু আইডেন্টিফাই করা যায়। সরকারিভাবে মেইনস্ট্রিমে আনার জন্যেএকটা টার্গেট আছে। যে তারা যাতে আমাদের শতভাগ শিক্ষার্থী যাতে একটা কোয়ালিটি এডুকেশন এনসিউর করতে পারে, তারা যাতে ঝরে না পরে এবং তারা যেন মেইনস্ট্রিমের সাথে কাজ, পড়াশোনা করে একটা সাবলম্বী হইতে পারে সেটা আমাদের টার্গেট আছে, ভিশন আছে।’

উপস্থাপক: প্রকল্পের মাধ্যমে শ্রবণদৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিশুদের স্কুলে অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটি ও শিক্ষকদের অবহিতকরণ সভার মাধ্যমে প্রতিবন্ধী শিশুদের অধিকার সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয়। সেই সাথে শ্রবণদৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত ও বিদ্যালয়ে শিক্ষা পদ্ধতি কীভাবে উপযোগী করে তোলা যায় তার ধারণা প্রদান করা হয়।

গত ‍তিন বছরের ক্রমাগত সহযোগিতায় চৈতি, খাদিজা ও গালিবের মতো সারাদেশে ৯৮ জন শ্রবণদৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীকে মূলধারার বিদ্যালয়ে অংশগ্রহণ সম্ভব হয়েছে। তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী বাড়িতে কিংবা স্কুলে বাড়তি সহায়তার ফলে তারা বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়েনি। তারা তাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে এবং তাদের শিক্ষাবর্ষ সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

গালিব, শ্রবণদৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী: ‘আমি ইস্কুলে যেতে পছন্দ করি। পড়াশোনা করে বড় হয়ে বড় সরকারি চাকরি করতে চাই।’

উপস্থাপক: যদিও বিগত বছরে কোভিড-১৯ এর ফলে শিক্ষার ওপর ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। বিদ্যালয়গুলো বন্ধ থাকলেও প্রকল্পের আওতায় ব্যক্তিগত বিকাশের জন্য প্রতিনিয়ত নিজ বাড়িতে সহায়তা গ্রহণের মাধ্যমে চৈতি, খাদিজা এবং অন্যান্য শিক্ষার্থীরা তাদের স্কুল খোলার পর পুনরায় তারা স্কুলে যেতে প্রস্তুত বলে নিশ্চিত করেছে।

মানসম্মত অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষার মাধ্যমে শ্রবণদৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের পাঠদান সম্ভব। যেহেতু প্রকল্পটি বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে বিপুল সংখ্যক শ্রবণদৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের সফলভাবে মূলধারার স্কুলে অন্তর্ভুক্ত করতে সক্ষম হয়েছে তাই বাংলাদেশের সর্বত্র মানসম্মত শিক্ষা বাস্তবায়নের পদ্ধতিকে আমাদের শিক্ষা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্বারা আরও গতিশীল ও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় এসেছে।

আসুন, প্রতিটি শিক্ষার্থীকে তাদের শিক্ষার অধিকার অনুধাবন করে শিক্ষায় অন্তর্ভুক্ত হই। সেইসাথে কোনো শিক্ষার্থী যেন পিছিয়ে না পড়ে তা নিশ্চিত করি।   

লিংক

এটা কি কার্যকরী ছিলো?

শেয়ার


একই রকম রিসোর্স

প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন, ২০১৩।

এই রিসোর্সটি মূলত প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার ও সুরক্ষা আইন সম্পর্কে তথ্য দিয়ে থাকে।

আমার শ্রবণদৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিশু যাতে নিজেই খাবার খেতে পারে সেটি কিভাবে শেখাব?

এই রিসোর্সটি মূলত শ্রবণদৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিশু কীভাবে নিজেই খাবার খেতে পারা শিখবে সে সম্পর্কে তথ্য দিয়ে থাকে।

কোন বয়স থেকে আমার শ্রবণদৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিশুকে টয়লেট ব্যবহার করা শেখানো শুরু করবো?

এই রিসোর্সটি মূলত শ্রবণদৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিশুর টয়লেট ব্যবহার করা শেখানো সম্পর্কে তথ্য দিয়ে থাকে।