এটা কার জন্য উপযোগী?

প্রতিবন্ধী ব্যক্তি. তাদের অভিভাবক, শিক্ষক ও পরিচর্যাকারী।

প্রকাশের তারিখ
এপ্রিল 2025
তৈরি করা হয়েছে
ন্যাশনাল রিসোর্স সেন্টার অন ডেফব্লাইন্ডনেস- এনআরসিডিবি, সিডিডি।

এই রিসোর্সটি মূলত প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার ও সুরক্ষা আইন সম্পর্কে তথ্য দিয়ে থাকে।

কেন এই আইন?

প্রতিবন্ধী ব্যক্তির সমঅধিকার, মানবসত্ত্বার মর্যাদা, মৌলিক মানবাধিকার ও সামাজিক সাম্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার ৯ অক্টোবর, ২০১৩ ‘প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন-২০১৩’ প্রণয়ন করে। এই আইনে ৪৪টি ধারা ও ১৬টি তফসিল রয়েছে।

এই আইনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়

ধারা ২ এর ৯-এ প্রতিবন্ধীতার সংজ্ঞায় যা বলা হয়েছে-

“প্রতিবন্ধিতা” অর্থ যেকোন কারণে ঘটিত দীর্ঘমেয়াদী বা স্থায়ীভাবে কোন ব্যক্তির শারীরিক, মানসিক, বুদ্ধিগত, বিকাশগত বা ইন্দ্রিয়গত ক্ষতিগ্রস্ততা বা প্রতিকূলতা এবং উক্ত ব্যক্তির প্রতি দৃষ্টিভঙ্গিগত ও পরিবেশগত বাধার পারস্পরিক প্রভাব, যাহার কারণে উক্ত ব্যক্তি সমতার ভিত্তিতে সমাজে পূর্ণ ও কার্যকর অংশগ্রহণে বাধাপ্রাপ্ত হন।

ধারা-৩ এ ১১ ধরনের প্রতিবন্ধী ও অন্যান্য প্রতিবন্ধী মানুষের কথা বলা হয়েছে –

  • অটিজম বা অটিজমস্পেকট্রাম
  • শারীরিক প্রতিবন্ধিতা
  • মানসিক অসুস্থতাজনিত প্রতিবন্ধিতা
  • দৃষ্টি প্রতিবন্ধিতা
  • বাক প্রতিবন্ধিতা
  • বুদ্ধি প্রতিবন্ধিতা
  • শ্রবণ প্রতিবন্ধিতা
  • শ্রবণদৃষ্টি প্রতিবন্ধিতা
  • সেরিব্রাল পালসি
  • ডাউন সিনড্রোম
  • বহুমাত্রিক প্রতিবন্ধিতা এবং
  • অন্যান্য প্রতিবন্ধিতা

প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ২০টি অধিকারের কথা ধারা-১৬ এর  (ক-ণ) পর্যন্ত উল্লেখ করা হয়েছে। অধিকারসমূহ হলো:

  • পূর্ণমাত্রায় বাঁচিয়া থাকা ও বিকশিত হওয়া;
  • সর্বক্ষেত্রে সমান আইনী স্বীকৃতি এবং বিচারগম্যতা;
  • উত্তরাধিকারপ্রাপ্তি;
  • স্বাধীন অভিব্যক্তি ও মত প্রকাশ এবং তথ্যপ্রাপ্তি;
  • মাতা-পিতা, বৈধ বা আইনগত অভিভাবক, সন্তান বা পরিবারের সহিত সমাজে বসবাস, বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন ও পরিবার গঠন;
  • প্রবেশগম্যতা;
  • সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাষ্ট্রীয় ইত্যাদি ক্ষেত্রে, প্রতিবন্ধিতার ধরন অনুযায়ী, পূর্ণ ও কার্যকরভাবে অংশগ্রহণ;
  • শিক্ষার সকল স্তরে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উপযুক্ত সুযোগ সুবিধা প্রাপ্তি সাপেক্ষে, একীভূত বা সমন্বিত শিক্ষায় অংশগ্রহণ;
  • সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মে নিযুক্তি;
  • কর্মজীবনে প্রতিবন্ধিতার শিকার ব্যক্তি কর্মে নিয়োজিত থাকিবার, অন্যথায়, যথাযথ পুনর্বাসন বা ক্ষতিপুরণপ্রাপ্তি;
  • নিপীড়ন হইতে সুরক্ষা এবং নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশের প্রাপ্যতা  সাপেক্ষে,  সর্বাধিক  মানের  স্বাস্থ্যসেবাপ্রাপ্তি;
  • শিক্ষা ও কর্মক্ষেত্রসহ প্রযোজ্য সকল ক্ষেত্রে ‘প্রয়োজনীয় স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য উপযোগী পরিবেশ ও ন্যায্য সুযোগ সুবিধা’ প্রাপ্তি
  • শারীরিক, মানসিক ও কারিগরী সক্ষমতা অর্জন করিয়া সমাজ জীবনের সকল ক্ষেত্রে সম্পূর্ণভাবে একীভূত হইবার লক্ষ্যে সহায়কসেবা ও পুনর্বাসন সুবিধাপ্রাপ্তি;
  • মাতা-পিতা বা পরিবারের উপর নির্ভরশীল প্রতিবন্ধী ব্যক্তি মাতা- পিতা বা পরিবার হইতে বিচ্ছিন্ন হইলে বা তাহার আবাসন ও ভরণ-পোষণের যথাযথ সংস্থান না হইলে, যথাসম্ভব, নিরাপদ আবাসন ও পুনর্বাসন;
  • সংস্কৃতি, বিনোদন, পর্যটন, অবকাশ ও ক্রীড়া কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ;
  • শ্রবণ প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ও বাক প্রতিবন্ধী ব্যক্তির নিজ ইচ্ছা অনুযায়ী, যথাসম্ভব, বাংলা ইশারা ভাষাকে প্রথম ভাষা হিসাবে গ্রহণ;
  • ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা;

এই আইনের অধীন ৫টি কমিটি গঠনের কথা বলা হয়েছে (ধারা ১৭ থেকে ২৫):

  • জাতীয় সমন্বয় কমিটি
  • জাতীয় নির্বাহী কমিটি
  • জেলা কমিটি
  • উপজেলা কমিটি এবং
  • শহর কমিটি

ধারা-২৮ অনুযায়ী, ৫টি কমিটি তাদের কাজের সুবিধার্থে প্রয়োজনে উপ-কমিটি গঠন করতে পারবে।

এছাড়াও সরকার প্রতিবন্ধী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও সুরক্ষা করার জন্য নিম্নের কতিপয় বিষয়ের উপর গুরুত্বারোপ করেছে:

  • প্রতিবন্ধী ব্যক্তির নিবন্ধন ও পরিচয়পত্র প্রদান (ধারা-৩১)
  • গণপরিবহনে আসন সংরক্ষণ, ইত্যাদি (ধারা-৩২)
  • শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির ভর্তি সংক্রান্ত বৈষম্যের প্রতিকার (ধারা-৩৩)
  • গণস্থাপনায় প্রতিবন্ধী ব্যক্তির প্রবেশগম্যতা নিশ্চিতকরণ (ধারা-৩৪)
  • প্রতিবন্ধিতার কারণে কর্মে নিযুক্ত না করা ইত্যাদি (ধারা- ৩৫)
  • বৈষম্য নিষিদ্ধকরণ ও ক্ষতিপূরণ প্রদান (ধারা-৩৬)
  • অপরাধ ও দণ্ড (ধারা-৩৭)
  • মামলা দায়ের, আমলযোগ্যতা, ইত্যাদি (ধারা-৩৮)
  • ফৌজদারী কার্যবিধির প্রয়োগ (ধারা-৩৯)
  • কোম্পানি  কর্তৃক অপরাধ সংঘটন (ধারা-৪০)

তফসিল

১৬টি তফসিল রয়েছে-

  • শনাক্তকরণ;
  • অবধায়ন ও পরিকল্পনা;
  • স্বাস্থ্যসেবা;
  • ভাষা ও যোগাযোগ
  • প্রবেশগম্যতা’
  • তথ্য বিনিময় এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি;
  • চলন;
  • সহায়ক সেবা ও পুনর্বাসন;
  • শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ;
  • কর্মসংস্থান;
  • সামাজিক নিরাপত্তা;
  • নির্যাতন হইতে মুক্তি,
  • বিচারগম্যতা ও আইনী সহায়তা;
  • প্রাকৃতিক দুর্যোগ, ঝুঁকিপূর্ণ ও জরুরী মানবিক অবস্থা;
  • ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড ও বিনোদন;
  • সচেতনতা এবং

ডাউনলোড

এটা কি কার্যকরী ছিলো?

এটা কি কার্যকরী ছিলো?প্রয়োজনীয়
This field is for validation purposes and should be left unchanged.

শেয়ার


একই রকম রিসোর্স

আমার শ্রবণদৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিশু যাতে নিজেই খাবার খেতে পারে সেটি কিভাবে শেখাব?

এই রিসোর্সটি মূলত শ্রবণদৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিশু কীভাবে নিজেই খাবার খেতে পারা শিখবে সে সম্পর্কে তথ্য দিয়ে থাকে।

কোন বয়স থেকে আমার শ্রবণদৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিশুকে টয়লেট ব্যবহার করা শেখানো শুরু করবো?

এই রিসোর্সটি মূলত শ্রবণদৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিশুর টয়লেট ব্যবহার করা শেখানো সম্পর্কে তথ্য দিয়ে থাকে।

প্রতিবন্ধী ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ করার ক্ষেত্রে যেসব শিষ্টাচার মেনে চলবেন

এই রিসোর্সটি মূলত প্রতিবন্ধী ব্যক্তির সাথে যোগাযোগের ক্ষেত্রে করণীয় সম্পর্কে তথ্য দিয়ে থাকে।