এটা কার জন্য উপযোগী?
উন্নয়ন এবং মানবিক সংস্থা, বিশেষ করে যারা শ্রবণদৃষ্টি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ক্ষমতায়নের জন্য কাজ করে
এই ভিডিও-এর মাধ্যমে একজন শ্রবণদৃষ্টি প্রতিবন্ধী ব্যক্তির প্রাত্যহিক কার্যক্রম যেমন- প্রার্থনা, দৈনন্দিন কার্যাবলী, আয়মূলক কর্মসূচী তুলে ধরা হয়েছে। অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের উপর গুরুত্বারোপের পাশাপাশি, এই ভিডিওটি প্রতিবন্ধিতার কারণ ও ফলাফল প্রদর্শন করে এবং প্রতিবন্ধিতার কারণে সম্মুখীন হওয়া বাধাগুলি কাটিয়ে উঠতে প্রয়োজন-ভিত্তিক কার্যক্রমগুলো দেখায়।
এই সংক্ষিপ্ত ভিডিওটি শ্রবণদৃষ্টি প্রতিবন্ধিতাসম্পন্ন ব্যক্তি যারা মনোভাবগত বাধার সম্মুখীন এবং দৈনন্দিন জীবনে চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতি অতিক্রম করার জন্য মানসিক শক্তির অভাব রয়েছে তাদের জন্য একটি অনুপ্রেরণামূলক নির্দেশিকা হিসাবে ভূমিকা পালন করতে পারে। এটিতে রয়েছে-
- জীবিকা নির্বাহের জন্য আয়বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণের সুবিধা
- বিভিন্ন আয়বৃদ্ধিমূলক কাজের সাথে একজন শ্রবণদৃষ্টি প্রতিবন্ধী ব্যক্তির সম্পৃক্ততা
- দৈনন্দিন জীবনযাত্রার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য দক্ষতার উন্নতি (এডিএল)
আর্থিক স্বচ্ছলতা এবং নিজস্ব কার্যক্ষমতা আইয়ুব আলীর জীবন-যুদ্ধকে সম্পদে পরিণত করেছে
উপস্থাপক: ‘দিস ইজ দ্য স্টোরি অব আইয়ুব আলী ফ্রম বগুড়া, বাংলাদেশ, হু কান্ট সি অর হিয়ার। বাই ডেফিনেশন, হি ইজ অ্যা পারসন উইথ ডেফব্লাইন্ডনেস। বাট বাই কারেজ, হি ইজ অ্যা ডেফিনেশন অব অ্যা ব্রাইট স্টোরি। হি সামটাইমস মোর অ্যাকটিভ দ্যান অ্যা পারসন উইদাউট ডিজঅ্যাবিলিটি, হু ক্যান সি দ্য লাইট অব দ্য মরনিং অর অ্যা বিউটিফুল মুন।
উইথ সাপোর্ট ফ্রম সেন্স ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড দ্য সেন্টার ফর ডিজএ্যাবিলিটি ইন ডেভেলপমেন্ট, হি ইজ লার্নিং ইনকাম জেনারেটিং অ্যাক্টিভিটিজ অ্যাজ ওয়েল অ্যাজ গেটিং সোশ্যাল সিকিউরিটি বেনিফিটস।’
আইয়ুব আলী: ‘আমার প্রথমত সমস্যা দেখা দেয়, আট-দশ বছর যখন আমার বয়স, সেই সময়ে আমার টাইফয়েড জ্বর আর জন্ডিস হয়। এখান থেকে হতে হতে আমি একেবারে দৃষ্টিহীন, প্রতিবন্ধী, শ্রবণদৃষ্টি প্রতিবন্ধী। সকালে ঘুম থেকে ওঠে ব্রাশ করে, কাপড় চোপড় পরে মসজিদে চলে যাই, ফজরের নামাজ আদায় করি।
মসজিদে যে কাজ করি এখান থেকে কিছু মায়না দেয়। বাড়িত আসার পর একটা গবাদি পশু আছে, সে গোহাল থেকে সে পশুটা বাইর করি। গরুর ঘাস আনতে যাই পাতরে, আমি কিছু নিবিড় ঘাস লাগাছি। বাড়িওয়ালি আমার ওই বাড়িঘর পরিষ্কার করে, মাঞ্জা ঘষা করে। করার পরে বাড়িওয়ালি যখন রান্দনবাড়ন করবে নে কিছু তরকারি কুটে সহযোগিতা করে দেই।’
জমির আলী, গ্রাম বিকাশ সংস্থা: ‘আমরা যে দৈনন্দিন কাজটা করি, সকাল থেকে ঘুমানোর আগ পর্যন্ত যে কাজগুলা করি, একজন প্রতিবন্ধী ব্যক্তিও ওই কাজগুলো করার কথা। কিন্তু তারা সমস্যার কারণে, তাদের বাধাঁর কারণে তারা করতে পারে না। আমরা কী করি ওই বাড়িতে গিয়ে ওই প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে শিখাই, ব্যক্তি বা শিশুকে শিখাই। প্লাস তার যে অভিভাবক আছে, তার যে পিতা মাতা আছে, যে তাকে সেবাডা দেয়, তাকেও আমরা এই কাজটা শেখাই।
ইন দ্য মিন টাইম, আমাদের ১৩ জন বাচ্চা ইস্কুলে পড়ালেহা করতেছে, এই শ্রবণদৃষ্টি প্রতিবন্ধী। যে আইয়ুব আলী যে কাজগুলি করতেছে, কাঠের কাজটা ছয় মাস শিখছে, সে জলচৌকি, সে একটা খাট, আলমিরা, এই জিনিসগুলা সে তৈরি করা শিখছে।’
আইয়ুব আলী: ‘তো, ভাইয়েরা আমাকে অনেক সহযোগিতা, সার্বিক সহযোগিতা দেয় আমার পথচলার জন্যে। মানে দৃষ্টান্ত দেয় যে, এভাবে এভাবে পথ চলতে হবে সাদা ছড়ি দিয়ে। আমি ছয় মাস ট্রেলিং দিছি, ছয় মাসের ভিতর আমাক ভাতা দিছে, শিক্ষা অবস্থায় কিছু ভাতা দিছে। আর ছয় মাসে যে আমি যেভাবে কামে আগ্রসর হয়েছি, ইনশাআল্লাহ্ আমার কাছে যদি কোনো হাতের প্রজেক্ট থাকে অনেকদূর পর্যন্ত আগিয়ে যেতে পারবো।’