পরিসংখ্যান মতে, উগান্ডায় আনুমানিক আট লক্ষ ৮৫ হাজার মানুষ মৃদু শ্রবণদৃষ্টি প্রতিবন্ধিতা নিয়ে বসবাস করেন এবং ৮৮ হাজারেরও বেশি মানুষ গুরুতর শ্রবণদৃষ্টি প্রতিবন্ধিতায় ভুগছেন।
*ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন অব দ্য ডেফব্লাইন্ড’র, ২০১৮ ‘অ্যাট রিস্ক অব এক্সক্লুশন ফ্রম সিআরপিডি অ্যান্ড এসডিজি’স ইমপ্লিমেন্টেশেন: ইনইকুয়্যালিটি অ্যান্ড পারসনস উইথ ডেফব্লাইন্ডনেস’
উগান্ডায় শ্রবণদৃষ্টি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা নিয়মিত বিভিন্ন বাধার সম্মুখীন হন, বিশেষ করে যোগাযোগের সমস্যার কারণে। উগান্ডার ১৯৯৫ সালের সংবিধান সকল নাগরিকের জন্য সমতার অধিকার ও বৈষম্য থেকে মুক্তির নিশ্চয়তা প্রদান করে।
উগান্ডার যোগাযোগ আইন, ২০১৩-এর ৫নং ধারা অনুযায়ী, উগান্ডা যোগাযোগ কমিশনকে নতুন প্রযুক্তির উন্নয়ন ও ব্যবহারের গবেষণা পরিচালনা করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, বিশেষ করে যা প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য যোগাযোগের প্রবেশগম্যতা সহজ করবে। এটি দীর্ঘদিন ধরে শ্রবণদৃষ্টি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য একটি বড় বাধা ছিল, যা তাদের সেবা গ্রহণ প্রক্রিয়াকে কঠিন করে তুলেছে।
উগান্ডার প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য আইসিটি নীতিমালা
এই নীতিমালায় আইসিটিকে যোগাযোগের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে, যা ভাষা, টেক্সট ডিসপ্লে, ব্রেইল, স্পর্শ যোগাযোগ, বড় মুদ্রণ, প্রবেশগম্য মাল্টিমিডিয়া, লিখিত, অডিও ও সাধারণ ভাষার মাধ্যমে অন্তর্ভুক্তিমূলক যোগাযোগ নিশ্চিত করে। এই নীতির মূল লক্ষ্য প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্রান্তিকতা কমানো ও তথ্য-প্রযুক্তির সুযোগ বৃদ্ধির মাধ্যমে তাদের জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি করা।