নেপালে আনুমানিক সাড়ে ১১ হাজারেরও বেশি শ্রবণদৃষ্টি প্রতিবন্ধী ব্যক্তি রয়েছে।
*ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন অব দ্য ডেফব্লাইন্ড’র, ২০১৮ ‘অ্যাট রিস্ক অব এক্সক্লুশন ফ্রম সিআরপিডি অ্যান্ড এসডিজি’স ইমপ্লিমেন্টেশেন: ইনইকুয়্যালিটি অ্যান্ড পারসনস উইথ ডেফব্লাইন্ডনেস’
নেপালে, শ্রবণদৃষ্টি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদেরকে সবচেয়ে প্রান্তিক ও ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠী হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
নেপাল সরকারের প্রতিবন্ধীতার পূর্বের সংজ্ঞা এবং শ্রেণিবিভাগ অনুযায়ী, শ্রবণদৃষ্টি প্রতিবন্ধিতাকে বহুমাত্রিক প্রতিবন্ধিতার আরেকটি ধরন হিসেবে বিবেচনা করা হতো। এর ফলে শ্রবণদৃষ্টি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য তাদের প্রয়োজনীয় সেবা ও সহযোগিতা পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছিল।
ন্যাশনাল ফেডারেশন অব ডিসেবলড নেপাল (এনএফডিএন) এর নেতৃত্বে প্রচার-প্রচারণার ফলস্বরূপ, ২০০৬ সালে সরকার শ্রবণদৃষ্টি প্রতিবন্ধিতাকে বহুমাত্রিক প্রতিবন্ধিতা থেকে আলাদা করে এবং একটি স্বতন্ত্র প্রতিবন্ধীতা হিসাবে স্বীকৃতি দেয়। তবে এই স্বীকৃতি সত্ত্বেও, শ্রবণদৃষ্টি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা এখনও তথ্য পাওয়া, অধিকার সুরক্ষিত করা এবং প্রয়োজনীয় সহায়তা পাওয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হয়।
তথ্যপ্রাপ্তি, যোগাযোগ ও দৈনন্দিন কার্যক্রমে অংশগ্রহণের নতুন পথ হিসেবে প্রযুক্তিগত প্রবেশগম্যতা শ্রবণদৃষ্টি প্রতিবন্ধি মানুষের জীবনে আমূল পরিবর্তন ঘটাতে পারে। এ ধরনের রিসোর্স ও প্রযুক্তি শ্রবণদৃষ্টি প্রতিবন্ধি ব্যক্তি ও তাদের সহায়তাকারীদের জীবনযাপন, শেখার ক্ষেত্রে উন্নতি করতে সহায়তা করবে।