এটা কার জন্য উপযোগী?
শ্রবণদৃষ্টি প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, তাদের অভিভাবক ও পরিবার।
শিশুর শ্রবণদৃষ্টি প্রতিবন্ধিতা সনাক্ত হবার পর মা-বাবার মাঝে নানা রকম ভয় ও নেতিবাচক অনুভূতি কাজ করে। বিশেষ করে এই শিশুকে কিভাবে লালন পালন করবেন তা ভেবে তারা অস্থির হয়ে পড়েন। বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে একজন শ্রবণদৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিশুকে লালন-পালন করা অবশ্যই কঠিন কাজ, কিন্তু শিশুর প্রাথমিক শৈশবে সঠিকভাবে পরিচর্যা করতে পারলে এবং প্রয়োজনীয় উপকরণ প্রদান করতে পারলে এই কঠিন কাজটি তুলনামূলকভাবে সহজ করে তোলা সম্ভব।
- শিশুর সাথে নিয়মিত সময় কাটান এবং একসাথে খেলাধুলা করুন।
- শিশুর সাথে প্রতিদিন যোগাযোগ করুন। এক্ষেত্রে অঙ্গভঙ্গি, স্পর্শ, মৌখিক ভাষা বা ইশারা ভাষা ব্যবহার করতে পারেন।
- পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরও শিশুর সাথে যোগাযোগ করতে ও খেলাধুলা করতে উৎসাহিত করুন।
- বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে শিশুকে নিয়ে যান। অন্যদের সাথে শিশুকে মিশতে বা যোগাযোগ করতে উৎসাহিত করুন।
- শিশুকে হাঁটা ও হামাগুড়ি দেয়া শিখতে সহায়তা করুন। তাকে ঘরের পরিবেশ চেনান। ঘরের মাঝে একা একা চলাফেরায় অভ্যস্থ করুন।
- শিশুকে একটি দৈনন্দিন রুটিন মেনে চলায় অভ্যস্থ করুন।
- একা একা নিজের কাজ, যেমনঃ খাওয়া, পোশাক পড়া, গোসল করা, বাথরুম করা ইত্যাদি করতে শেখান।
- ডাক্তার বা স্বাস্থ্যকর্মীর পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সহায়ক উপকরণ (হিয়ারিং এইড, চশমা) ব্যবহারে শিশুকে অভ্যস্থ করুন।
- প্রয়োজনে থেরাপীর ব্যবস্থা করুন।
- ধৈর্য্য ধরুন। শ্রবণদৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিশুর শেখার গতি অপ্রতিবন্ধী শিশুর তুলনায় ধীর হতে পারে। অস্থির হবেন না।